Logo

রাজনীতি    >>   সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধান। বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানেরা তাঁদের নিজ নিজ বাহিনীর সাম্প্রতিক কার্যক্রম, উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা সশস্ত্র বাহিনীর গর্ব। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাহিনীর ভূমিকা অসামান্য।"

রাষ্ট্রপতি দিবসটি উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, "শান্তি মিশনে কাজের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শুধু দেশের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।"

তিনি সশস্ত্র বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা এবং প্রতিনিয়ত প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আরও বলেন, "আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভবিষ্যতেও এই পেশাদারিত্ব ধরে রাখার জন্য আমি দৃঢ় আশাবাদী।"

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী কেবল দেশের রক্ষাকবচই নয়, বরং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। রাষ্ট্রপতি তাঁদের এ কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময় এবং দেশের সাম্প্রতিক সংকটে বাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁদের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।বৈঠকে বঙ্গভবনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে রাষ্ট্রপতি বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা এবং তাঁদের কর্মনিষ্ঠাকে দেশের অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, "বাহিনীর সদস্যরা ভবিষ্যতে আরও দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।"